Your Cart

Your cart is empty

Go find your favorite products and add them to the cart.

Continue Shopping

Sub Total

Tk


Proceed to Checkout

আর্থাইটিস হলে কি করণীয়

আর্থাইটিস হলে কি করণীয়

 

 

আর্থাইটিস একটি সাধারণ কিন্তু কষ্টদায়ক সমস্যা, যা মূলত জয়েন্ট বা সন্ধিস্থলে প্রদাহের কারণে হয়ে থাকে। এটি সাধারণত ব্যথা, ফোলা এবং জড়তা সৃষ্টি করে, যা দৈনন্দিন জীবনকে কঠিন করে তুলতে পারে। অনেকের মধ্যেই এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে, ফলে সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ না করার কারণে সমস্যা আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। এই ব্লগে আমরা আলোচনা করবো—আর্থাইটিস হলে করণীয় কী?

আর্থাইটিসের ধরন ও কারণ

আর্থাইটিসের অনেক ধরনের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ দুটি হল:

অস্টিওআর্থ্রাইটিস (Osteoarthritis): এটি বয়সজনিত কারণে বা অতিরিক্ত ওজনের কারণে জয়েন্টের ক্ষয় হওয়া থেকে সৃষ্টি হয়।

রিউমাটয়েড আর্থাইটিস (Rheumatoid Arthritis): এটি একটি অটোইমিউন ডিজিজ, যেখানে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিজেই জয়েন্টে আক্রমণ করে প্রদাহ সৃষ্টি করে।

অন্যান্য কারণগুলোর মধ্যে ইনফেকশন, অতিরিক্ত পরিশ্রম, জিনগত প্রভাব এবং অপুষ্টি অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

 

⚠আর্থাইটিস হলে করণীয়✅

 

১. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন


প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করুন। হাঁটা, যোগব্যায়াম এবং সাঁতার কাটা জয়েন্টের জন্য ভালো।

অতিরিক্ত ওজন থাকলে কমানোর চেষ্টা করুন, কারণ ওজন বাড়লে জয়েন্টের উপর চাপ বেশি পড়ে।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন, কারণ পর্যাপ্ত ঘুম জয়েন্টের পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।

২. খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন

অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি খাবার যেমন মাছ, অলিভ অয়েল, বাদাম ও সবুজ শাকসবজি খাওয়া উচিত।

প্রক্রিয়াজাত খাবার ও অতিরিক্ত চিনি এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো প্রদাহ বাড়াতে পারে।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন, যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।

৩. ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়

গরম বা ঠান্ডা থেরাপি ব্যবহার করুন। গরম পানির প্যাড বা বরফ প্যাক জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সহায়ক।

প্রয়োজন হলে পেইনকিলার বা ওষুধ সেবন করুন, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে।

৪. চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া

যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি করা যেতে পারে।

প্রয়োজনে জয়েন্টের চিকিৎসার জন্য ইনজেকশন বা সার্জারি বিকল্প হতে পারে।

৫. মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখা

দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে, তাই মানসিকভাবে সুস্থ থাকা জরুরি।

মেডিটেশন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম মানসিক প্রশান্তি আনতে পারে।

পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো এবং সামাজিকভাবে সক্রিয় থাকা সাহায্য করতে পারে।
 

আর্থাইটিস জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলতে পারে, তবে সঠিক জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম এবং নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। প্রাথমিক অবস্থায় সচেতনতা ও সতর্কতা গ্রহণ করলে আর্থাইটিসের জটিলতা এড়ানো সম্ভব। তাই, জয়েন্টের ব্যথা বা সমস্যা অনুভব করলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সুস্থ থাকুন, সক্রিয় থাকুন!